প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জেরে জেরবার বিশ্ব। করোনাভাইরাসের ওষুধ আবিস্কার নিয়ে আলোচনাও তুঙ্গে। এই অবস্থায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন চিকৎসকরা। শুধু ক্যান্সার নয়, ধূমপানের অভ্যাস বাড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বা মৃত্যুরও ঝুঁকি বাড়ে বলে দাবি চিকৎসকদের।
এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৩৬ জন। তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনা-আক্রান্তদের মধ্যে, বিশেষ করে এই ভাইরাসে প্রাণ গিয়েছে যাঁদের, তাঁরা বেশির ভাগই পুরুষ। মহিলা ও শিশুদের তুলনায় করোনায় মৃতদের বেশির ভাগই পুরুষ। ‘চাইনিজ সেন্টার্স অব ডিজিজ কন্ট্রোল’-এর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই তথ্যই দিয়েছে বিবিসি। এক্ষেত্রে ৪৪ হাজার রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই তথ্যে দেখা গিয়েছে, এই ভাইরাসে যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ২.৮ শতাংশ পুরুষ, মহিলা ১.৭ শতাংশ আর শিশু ০.২ শতাংশ। এছাড়া ১৫ শতাংশ মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বয়স্ক মানুষরা।
চিকিৎসকরা এর কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন আক্রান্তদের লাইফ স্টাইলের পার্থক্যকেই। চিকিৎসকদের দাবি, বাইরে বেরনো এবং ঘন ঘন ধূমপানের অভ্যাসই এর অনতম্য কারণ। এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ ফুসফুসেই বেশি হয়। তাই যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন তাঁদের দুর্বল ফুসফুসে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। ফলে এই ভাইরাসের হানায় ধূমপায়ীদের মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি। এক্ষেত্রে মহিলাদের ধূমপানের সংখ্যা যেহেতু মাত্র ৩ শতাংশ তাই মহিলাদের অ্যান্টিবডি তাড়াতাড়ি তৈরি হয় আর শিশুদের যেহেতু বাড়তি যত্ন নেওয়া হয়, তাই তাদেরও সহজেই বাঁচানো যায়।
করোনাভাইরাস সর্বশেষ আপডেট:
- বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা: ৩১৮,৫৫৬ মৃত্যু: ১৩,৬৭১ সুস্থ্য: ৯৬,০১১।
- এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত।
- বাংলাদেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৩ জন, মোট ২৭ জন। এর মধ্যে ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
- করোনা শনাক্তকরণ কিটসহ বেশকিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতি
- শিল্প-কলকারখানা আপাতত বন্ধ হবে না।
- করোনা রোধে কুয়েতে কারফিউ জারি
- করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের পর এবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে লকডাউন ঘোষণা।
- ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৬১, পশ্চিমবঙ্গে ৪, মোট মৃত্যু ৭
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত আরও খবর:
এয়ারপোর্টে থার্মাল স্ক্যানার পরীক্ষা পাশ করতে প্যারাসিটামল খেয়ে নামছেন অনেকে!
দেহে কী ভাবে ঢোকে? কোন পথে চালায় আক্রমণ?
করোনাভাইরাস রুখতে কলকাতায় গোমূত্র পান!
করোনাভাইরাস কী ভাবে ছড়াচ্ছে? লক্ষণ ও চিকিৎসা কী?