আমাদের দেশে অনেকেই রক্তস্বল্পতায ভোগেন। আজকাল রক্তস্বল্পতা খুব সাধারণ রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, সারা বিশ্বে ১.৬২ বিলিয়ন শিশু ও মহিলা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। এই রক্তস্বল্পতায় পড়ার প্রধান কারণ খাদ্যে আয়রনের পর্যাপ্ত অনুপস্থিতি।
আর এই রক্তস্বল্পতা রোধের সুপারফুড হলো পালংশাক। এতে আছে প্রচুর আয়রন, ফাইবার ও ভিটামিন। মাত্র আধবাটি পালংশাকে একজন নারীর প্রতিদিনের ২০ ভাগ পর্যন্ত আয়রণের যোগান দিতে পারে।
চুপিচুপি আরও স্মার্ট হোন
যারা রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা লাল মাংসও খেতে পারেন। লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা এই রোগে ভুগতে থাকাদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
দেহে লৌহের অভাব ঘোচাতে ব্যাগে কিংবা কর্মস্থলে শুকনা খেজুর রেখে দিতে পারেন। দিনের নাশতাগুলোতে ফলের তালিকায় কয়েকটি খেজুরও যোগ করতে পারেন। খেজুরের লৌহ শরীরের রক্তস্বল্পতা রুখতে কাজে লাগে। তাই রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খান।
মেঘের রাজ্য মেঘালয় ভ্রমণ
গমের আটার রুটি প্রতিদিন ৬ ভাগ আয়রণের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। তাছাড়া ডিম আমিষের একটি অন্যতম প্রধান উত্স। রক্তস্বল্পতায় যে পুষ্টিহীনতা তৈরি হয় তা থেকে ডিম রক্ষা করে। তাই রক্তস্বল্পতা রোধ করতে প্রতিদিন অন্তত একটি সিদ্ধ ডিম খাবারের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করুন।
যেসব মাছে চর্বি আছে, সেগুলোতে প্রচুর আয়রন থাকে। তাই আহারে দু’একদিন পরপর মাছ গ্রহণে রক্তস্বল্পতাকে বিদায় জানানো সম্ভব।
কমবে গাড়ির জ্বালানি ব্যয়
আয়রন ও ভিটামিন ‘সি’র অন্যতম উত্স বেদানা। ফলটি শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় ও ক্লান্তভাব থেকে মুক্ত রাখে। পাশাপাশি মাথায় ঝিমভাবকে তাড়ায়।
তাছাড়াও ভিটামিন ‘সি’ আয়রন দূর করত সহায়তা করে। সেজন্য প্রতি বেলায় আঙ্গুর, ব্রোকলি, টমেটো, স্ট্রবেরি, কমলা ও ক্যাপসিকাম ইত্যাদি রাখা যেতে।
বাবার বিয়েতে কী পরবেন? মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন !
এক্ষেত্রে ছোলাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতি কাপ ছোলাতে প্রচুর প্রোটিনের পাশাপাশি ৫ মি.গ্রা. করে আয়রন থাকে। তাই পর্যাপ্ত আয়রনের জন্য সালাদ কিংবা পাস্তার মতো খাবারে ছোলার ব্যবহার যোগ করলে মন্দ হয় না।