খাবারের স্বাদ ঠিক রাখতে লবণের বিকল্প নেই। দেহের জন্য তো প্রযোজনই। তাই বলে লবণ নির্মিত হোটেল! অবাক হলেও দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ার লবণের মরুভূমি ‘সালার দি উয়ুরি’তে আছে লবণ নির্মিত হোটেল।
ফিচার ডেস্ক: খাবারের স্বাদ ঠিক রাখতে লবণের বিকল্প নেই। দেহের জন্য তো প্রযোজনই। তাই বলে লবণ নির্মিত হোটেল! অবাক হলেও দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ার লবণের মরুভূমি ‘সালার দি উয়ুরি’তে আছে লবণ নির্মিত হোটেল। হোটেলের সম্পূর্ণ কাঠামোতেও লবণের ব্যবহার করা হয়েছে। আসবাবপত্র কিংবা শিল্পকর্ম সব কিছুতেই লবণের ছোঁয়া থেকে বাদ যায়নি।
লবণের তৈরি হোটেলটির নাম ‘প্যালেসিও দি সল’। স্প্যানিশ এই শব্দের অর্থ লবণের প্রাসাদ। প্যালেসিও দি সল প্রথম কোন হোটেল, যেটি তৈরি করা হয়েছে শুধু লবণ ব্যবহার করে। ৪ হাজার ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের হোটেলটিতে রয়েছে ৩০টি কক্ষ। হোটেলের মেঝে, দেয়াল, সিলিং এমনকি সিঁড়িতেও ব্যবহার করা হয়েছে লবণ। মজার ব্যাপার হলো, আসবাবগুলো লবণের বানানো হলেও স্বচ্ছ, ঝকঝকে ও মসৃণ আসবাপত্রগুলো দেখে বুঝতেই পারা যায় না এগুলো লবণে তৈরি। কক্ষের আকারগুলো কিন্তু সাধারণ ঘরের মত না। এস্কিমোদের বসবাসের ঘরের আদলে বানানো প্রতিটি ঘর। সমুদ্র সৈকতে গা ভেজানোর স্বাদ উপভোগ করতে হোটেলে রয়েছে লোনা সুইমিং পুল।
বলিভিয়ার সালার দি উয়ুনি স্থানটি ভ্রমণকারীদের কাছে বেশ পছন্দের জায়গা। প্রতি বছর এখানে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন। কিন্তু সমস্যা একটাই, বেড়াতে আসা মানুষগুলোর জন্য কোন হোটেলের ব্যবস্থা সেখানে ছিল না। মূলত পর্যটকরা যেন প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সুযোগ নিতে পারে, সেজন্য হোটেলের খুবই দরকার ছিল। তবে এলাকাটিতে হোটেল তৈরির প্রয়োজনীয় নির্মাণ উপকরণ নেই। সেখানে লবণের ছড়াছড়ির ফলে, সংকট সমাধানের জন্যই বুদ্ধি করে লবণকেই বেছে নেয়া হয়েছে। আর লবণেই বানিয়ে ফেলা হল পুরো একটি হোটেল।