মস্তিষ্ক রহস্য

মস্তিষ্ক মানুষের সবচেয়ে রহস্যময় অঙ্গ। আর এই রহস্যের নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই নিয়ে অনেক ভুল তথ্যই আমরা বহু আগে থেকে পেয়ে এসেছি। এই সম্পর্কে ভ্রান্ত তথ্যগুলো জেনে নিই…

মানুষের মস্তিষ্ক খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কথাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। তাই যদি হত, তাহলে মস্তিষ্কের কোন অংশ বাদ দিলেও কিছু হত না। বিজ্ঞানীদের মতে, এক সাথে মস্তিষ্কের পুরোপুরি ব্যবহার হয় না, তা থেকেই এই ভ্রান্ত কথাটির প্রচলন হয়েছে।বয়স বাড়ার সাথে মস্তিষ্কের কর্মতপরতা কমে যায় বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে বয়স বাড়লেও মানুষের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

অ্যালকোহলে কারণে মস্তিষ্কের কোষ মরে যায়, এই ভুল কথাটি প্রাচীনকাল থেকে প্রচলন হয়ে আসছে। মস্তিষ্কে সমস্যা সৃষ্টি করলেও তা কোন কোষ ধ্বংসের জন্য দায়ী করা যেতে পারে না। আরেকটি ধারণা মত, জন্মের পর মস্তিষ্কের কোষগুলোই পরবর্তীতে থেকে যায়। ১৯৯৮ সালের সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী তা ভুল প্রমাণিত করে।

এদিকে বলা হয়ে থাকে, মাদক নাকি মস্তিষ্কে ছিদ্র তৈরি করে। তবে বিষয়টি এমন নয়। মাদক দ্রবের নেতিবাচক প্রভাবে মস্তিষ্কের রসায়নে ব্যাঘাত ঘটে। মস্তিষ্কের আকার বড় মানেই জ্ঞানী বা স্মার্ট বলে ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে। যদি এটি হত, তাহলে হাতি বা ঘোড়া বেশি বুদ্ধি সম্পন্ন প্রাণী হত। ফলে বুঝা যায়, ধারণাটি পুরোপুরি ভুল। অন্যদিকে শরীর কিংবা মস্তিষ্কের ওজনের তারতম্যেও ঘটলেও বুদ্ধি সাথে এটির কোন যোগসাজশ নেই।

প্রাচীনকাল থেকেই মনে করা হয়, নারীদের চেয়েও পুরুষেরা বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন। তবে পুরুষ ও নারী মস্তিষ্ক বাহ্যিক গঠনে ভিন্নতা রয়েছ। এই পার্থ্যক্যে বিশেষ কোন তারতম্য তৈরি হয় না। দৃষ্টি, স্পর্শ, শ্রবণ, গন্ধ ও স্বাদ এই পাঁচটি কেবল মানুষের অনুভূতি ধারণা দেয় বলে মনে করা হয়। এসব ছাড়াও অনুভূতি রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।