আগরতলা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বৃহস্পতিবার আগরতলার বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনে উদযাপিত হলো মহান বিজয় দিবস। এদিন সকালে প্রথমে অনুষ্ঠিত হয় মৈত্রী সাইকেল র্যালি । কুঞ্জবন এলাকার সহকারি হাইকমিশন প্রাঙ্গণ থেকে র্যালি বের হয়।
সহকারি হাই কমিশনার মোহম্মাদ জোবায়ের হোসেন এবং ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ-ভারতের জাতীয় পতাকা নেড়ে র্যালির সূচনা করেন। এতে ত্রিপুরার ৫০ জন সাইকেলিস্ট অংশ নেন। তারা আগরতলা সিটি এবং আশপাশের এলাকার ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পুনরায় হাই কমিশন প্রাঙ্গণে মিলিত হন। বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশন এবং আগরতলা সাইক্লহোলিক্সর যৌথ উদ্যোগে র্যালির আয়োজন করা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন আগরতলা সাইক্লোহলিক্সে প্রতিষ্ঠাতা গোপেশ দেবনাথ।
এরপরের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর লিখিত বাণী পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এসময় দূতালায়ে সকল কর্মীরা শপথ বাক্য পাঠ করেন। এই শপথ বাক্য পাঠ করান সহকারী হাইকমিশনার। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ যোদ্ধাদের স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের উপর আলোচনা চক্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি এদিন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর কবিতার একটি সিডি আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন হয়। এই কবিতাগুলো আবৃত্তি করেছেন বাংলাদেশের বাচিকশিল্পী কাজী মাহাতাব সুমন এবং ত্রিপুরার বাচিক শিল্পী শাওলী রায়।
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী বলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতবর্ষ এবং বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের বড় অবদান রয়েছে। তাই এই দিনটি বাংলাদেশের পাশাপাশি ত্রিপুরা বাসীর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংহের বড় ভূমিকা ছিল। এমনকি সেই সময় তিনি নিজে ভূমিকা নিয়ে ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার সাবেক স্পিকার রেবতী মোহন দাস, বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ড: দেবব্রত রায়, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শ্যামল ভট্টাচার্য প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী হাই কমিশনার মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন, প্রথম সচিব (স্থানীয়) এম এস আসাদুজ্জামান, প্রথম সচিব রেজা চৌধুরী সহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।