বিশ্বব্যাপী অশান্তির মাঝে দেবী অধিষ্ঠাত্রী শরতের বাতাসে ঢাকের তালে শুভ বার্তা নিয়ে আসছেন এই অভিশপ্ত পৃথিবীতে, তাঁর শান্তির বাণী বহন করে বিলিয়ে দিবেন তাঁর স্নিগ্ধ পরশ পৃথিবীতে।
ভিভোর নতুন চমক! ৬ ক্যামেরা নিয়ে Vivo V17 Pro
অশান্তির মাঝে বিরাজ হবে বিপুল শান্তি, আর অন্ধকারে ফুটে উঠবে প্রচুর আলোর দীপ্তি। তাই চারিদিকে তাঁরই আহ্বান, তাঁরই গুনগান! ছোটবড় সবার নিরানন্দের মাঝে আনন্দের ঝর্ণাধারা।
চুপিচুপি আরও স্মার্ট হোন
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাপূজা। এ পূজা সনাতন শাস্ত্রীয় আচার এবং নিয়মমাফিক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে উদযাপিত হয়। দুর্গা মূলত শক্তির দেবী। অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য বিষ্ণুর নির্দেশে সকল দেবতার তেজঃপুঞ্জ থেকে জন্ম নেওয়া প্রকৃতি দেবীর রমণীয় মূর্তি এক মহাশক্তির উগ্ররূপ, দেবী দুর্গা। দুর্গা পূজার মানে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে অপ-শক্তিকে নির্মূল করা।
পরিবেশ বন্ধু ভ্যানকুভার
প্রচলিত সনাতন রীতি অনুযায়ী হিন্দু সমাজে বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয় দুর্গপূজা- শরৎকালে অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজাকে শারদোৎসব ও বসন্তকালে অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজা বাসন্তীপূজা নামে অবিহিত। শরতের শারদীয়া দুর্গাপূজাকে অকালবোধনও বলা হয়। কারণ শরতকালে দেবতারা ঘুমিয়ে থাকেন, তাই সময়টি তাঁদের পূজার যথাযথ সময় নয়; কিন্তু সনাতন শাস্ত্রীয় কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ অনুসারে ত্রেতাযুগের রাম ও রাবণের যুদ্ধের এক সংকটময় সময়ে রামকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা, দুর্গার বোধন ও পুজা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ছবিতে মালাইকা অরোরা এবং ১২ বছরের ছোট অর্জুন কাপুর
সেই অনুযায়ী শরতের এই প্রচলিত তথ্য অনুসারে স্মৃতিশাস্ত্র সমূহে বর্ণিত এ পূজা উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা বা শারদোৎসব হিসেবে অভিহিত এবং প্রচলিত। প্রকৃতির রূপবদলের চক্রে শরতের আকাশ নীলে যখন শুভ্র মেঘেদের বিচিত্রিত কারুকাজ, ভূমিতে স্বর্গছোঁয়া কাশফুলের শ্বেত-শুভ্রতা আর জলধারে সমাপনী বর্ষার পূতঃপবিত্রতা-
পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের রোজাগার
শরতের ঠিক এমন সময়টাতে মনোরম পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে পূজোর গন্ধ, শারদোৎসব। সনাতন ধর্মালম্বীদের হৃদিমন্দিরে বাজে সুমঙ্গল শঙ্খ, আর বিশ্ব শান্তি কল্পে শত মঙ্গল শিখায় আলোকিত হর চারিধার।
দুনিয়ার নরক -গুয়ান্তানামো বে
আশ্বিনের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত সর্বমঙ্গলার জগদ্বাত্রী ও মাতৃরূপা দেবী দুর্গা তাঁর সন্তান ও সতীর্থদের নিয়ে ধরিত্রীতে পা রাখেন। বিশ্বাসী পূজারি আর মৃৎশিল্পীর শিল্পিত অনৈর্বচনিক নিষ্ঠা ও ধ্যানে করুণাসিন্ধু দেবী তাঁর অধিষ্ঠান নেন মানবীয় মন্ডপে। ধনী,গরীব নির্বিশেষে হিন্দু নর-নারী, শিশু, বৃদ্ধা সকলে নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে দেবীকে দেখার জন্য মন্দিরে-মন্দিরে গমন করার মাধ্যমে এক অনাবিল আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে সবাই।