১৯৮২ সালে লেবাননের গৃহযুদ্ধ চলাকালে ভয়াবহ এক গণহত্যার ঘটনায় পুরো বিশ্ব জুড়ে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। দিনটি ছিল সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে। খ্রিস্টানদের এক সশস্ত্র গোষ্ঠী বৈরুতে অবস্থিত ফিলিস্তিনিদের সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে নির্বিচারে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়। ধর্ষিত হয় অনেক ফিলিস্তিনি নারী।
লেবাননের এই ঘটনা বিংশ শতাব্দিতে চালানো লোমহর্ষক গণহত্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিন দিনের গণহত্যায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাঁদের মধ্যে শিশু, নারী ও বৃদ্ধের সংখ্যাই ছিল বেশি।
পরিবেশ বন্ধু ভ্যানকুভার
সেসময় ইসরাইলি সেনারা বৈরুতে অভিযান চালায়। শহরটি দখলের পর ইসরাইলি বাহিনীর সহযোগিতায় খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জেস সশস্ত্র গোষ্ঠী সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে। গণহত্যায় কোন কোন হিসেবে বলা হয় কমপক্ষে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ফিলিস্তিন নারী, ও শিশু ও পুরুষ প্রাণ হারান। বুলডোজারে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয় শরণার্থীদের ঘরবাড়ি। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা গুনতেও কয়েক দিন লাগে।
ছবিতে মালাইকা অরোরা এবং ১২ বছরের ছোট অর্জুন কাপুর
গণহত্যার সময় বৈরুতের ঐ অংশটি নিয়ন্ত্রণ করছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। লেবাননের খ্রিস্টান সশস্ত্র গোষ্ঠীদের কেন ইসরায়েলি সেনারা শিবিরে ঢুকতে দিয়েছিল, সে প্রশ্ন উঠেছিল। এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে খোদ ইসরায়েলে যে তদন্ত হয়, তাতে এই কারণে পরোক্ষভাবে ইসরায়েলি বাহিনী এবং দেশটির তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনকে দায়ী করা হয়।
ইংরেজি কোর্সে ২৫% ছাড়!
সে সময় এরিয়েল শ্যারন ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আরও প্রায় দেড়শ লেবাননের বাসিন্দা। সেসময় পুরো ঘটনার জেরে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা এরিয়েল শ্যারনকে সাবরা-শাতিলার কষাই বলে ডাকা হত। লেবাননের শরণার্থী শিবিরে হাজারও মানুষ হত্যা নিয়ে সাড়া ওই গণহত্যার সংবাদ ছড়ালে বিশ্বের সাধারণ মানুষ তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এমনকি ইসরায়েলেও বিক্ষোভ হয়।
ফ্রান্সের জনপ্রিয় চার পর্যটন স্থান
ঘটনার পর তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদনে ইসরাইলকে ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। সাবরা আর শাতিলা শরণার্থী শিবিরের ওই ঘটনায় জড়িতদের কোন বিচার হয়নি।