মায়ানমারে বাদুড়ের লালারসে ৬ রকমের নতুন করোনাভাইরাস

গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াছে, তখন বিজ্ঞানীরা খুঁজে চলেছেন ঠিক কোথা থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি। আর সামনে এলো নতুন এক তথ্য। মায়ানমারে বাদুড়ের শরীরে পাওয়া গিয়েছে ছয় রকমের নতুন ধরণের করোনাভাইরাস।

‘স্মিথসোনিয়ান গ্লোবাল হেলথ প্রোগ্রাম’ এর তরফ থেকে বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালাচ্ছেন। তাঁরা জানিয়েছেন এই ধরনের করোনাভাইরাস আগে কোথাও পাওয়া যায়নি। তবে নতুন পাওয়া এই ভাইরাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হওয়া করোনাভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি PLOS ONE নামের একটি সায়েন্স জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে গবেষণায় উঠে আসা এই তথ্য বিশ্বের সমস্ত বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট কাজে লাগবে। আগামী দিনে কি ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে তা জানতে এই গবেষণার ভূমিকা থাকবে।

এই গবেষণার মুখ্য গবেষক মার্ক জানিয়েছেন নতুন থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে বন্যপ্রাণ এবং পরিবেশের সঙ্গে মানুষ আসলে কতটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাঁর দাবি মানুষের সঙ্গে বন্য প্রাণীদের যোগাযোগ দিনে দিনে বাড়ছে। ফলে এইসব প্রাণীদের শরীরে থাকা ভাইরাস সম্পর্কে যদি জানা যায় তাহলে আগামী দিনের মহামারীর আশঙ্কা কমানো যাবে।

মার্কিন সংস্থার উদ্যোগে চলছে গবেষণা। প্রজেক্ট টির নাম PREDICT. এই গবেষকরা সম্প্রতি মায়ানমারে বিশেষ পর্যবেক্ষণ চালিয়েছিলেন কারণ ওই অঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে বন্যপ্রাণী ও মানুষ পাশাপাশি চলে আসছে।

২০১৬ সালের মে মাস থেকে চলছে এই গবেষণা। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭৫০ টি বাদুড়ের লালা রস সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষকরা মনে করছেন বিশ্বে অন্তত কয়েক হাজার রকমের করোনাভাইরাস আছে যার মধ্যে অনেকগুলো এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে বেশিরভাগ করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে তেমন প্রভাব ফেলে না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সূত্র: ওয়েবসাইট।