আতঙ্কের নাম সারভাইক্যাল ক্যানসার বা জরায়ু মুখের ক্যানসার। হু হু করে ছড়িয়ে যাচ্ছে রোগটি। একটু সচেতন হলেই সারভাইক্যাল ক্যানসার থেকে বাঁচা সম্ভব। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের স্ট্রেনের একটি সারভাইকাল ক্যানসার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। শারীরিক সম্পর্ক থেকে সহজে ছড়ায় ভাইরাসটি। আবার শরীরের স্পর্শ থেকেও ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। অধিক সেক্স পার্টনার, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে এমন টাইপের ভাইরাস প্রবেশের ঝুঁকি থাকে।
৫০’র নিচের বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৮০ ভাগ সারভাইকাল ক্যানসারে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে শতকরা ৯০ ভাগ পরিস্থিতিতে দেহ স্বাভাবিক নিয়মে ভাইরাসটি নির্মূলে সক্ষম।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার
তবে একটু সতর্ক থাকলে সহজেই বুঝতে পারবেন সারভাইকাল ক্যানসারে আক্রান্তের লক্ষণসমূহ। কোন নারীর ভ্যাজাইনা হতে ডিসচার্জ, পেলভিসে ব্যাথা অুনভব এবং মাসিকের সময় রক্তপাতে পরিমাণ মাত্রারিক্ত হলে গাইনিকোলজিস্টের পরামর্শ নিন। এছাড়া যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ব্যথা তা হলে অবশ্যই গুরুত্ব দিবেন। ডাক্তারদের মতে, নারীদের বন্ধ্যাত্বের ফলে লম্বা চিকিৎসা, পলি সিস্টিক ওভারির সমস্যা যদি কখনও থাকে কিংবা টানা রাত্রিকালীন ডিউটির যারা করে, তাদের সর্তক থাকা উচিৎ। সেইসঙ্গে প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা নিয়মমাফিক করা প্রয়োজন।
আয়রনম্যান আরাফাতের গল্প
আরেকটি বিষয়, সারভাইকাল ক্যানসার মারাত্বক পর্যায়ে যেতে বেশ সময় লাগে। তাই রোগটির লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে সহজেই বুঝবেন। মনে রাখবেন, আপনার বয়স ৪০শের পরই যৌনাঙ্গের সুস্থতা সর্ম্পর্কে বিশেষ নজর দিবেন।