মেঘালয় ভ্রমণ: এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম, ঈশ্বরের নিজস্ব বাগানে

মেঘালয় ভ্রমণ, পর্ব ৪: ঘড়িতে সাড়ে চারটে। সেখানেই স্থানীয়দের বাড়িতে রাত কাটাব। চালক জানালেন, ঘণ্টা তিনেকের রাস্তা। ২০০৩ সালে ভ্রমণ ম্যাগাজিন ‘ডিসকভার ইন্ডিয়া’ গ্রামটিকে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম বলে ঘোষণা করে। এরপর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা।
‘ডিসকভার ইন্ডিয়া’ গ্রামটিকে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামের ঘোষণা করে

স্থানীয়রা গ্রামটিকে ঈশ্বরের নিজস্ব বাগান বলে মনে করেন। মাওলিনং পৌঁছাতে রাত আটটা। সেখানেও পর্যটকে ভরপুর। খুব খোঁজাখুঁজির পর একটা কটেজ পাওয়া গেল। কটেজগুলো বাঁশের, আধুনিকতার খানিকটা ছোঁয়া লেগেছে। আরও পড়ুন: মেঘের রাজ্য মেঘালয় ভ্রমণ।

রাতে গ্রামের দোকানগুলোয় পর্যটকদের খাসিয়ারা নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র সাজিয়ে রেখেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগে রাতে অন্ধকারেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা বেশ উপভোগ করছে। আদিবাসীর দোকানবাড়িতে সবজি ও ভাত অনেকটা বাংলাদেশের খাবারের স্বাদ। আরও পড়ুন: জিপ থেকে নেমে শিলং পুলিশ বাজার

রাতে প্রচণ্ড- ঝড় হয়েছে। সকালে বিরতি দিয়ে হালকা বৃষ্টি। ভোর পাঁচটায় বেরিয়ে পড়লাম সবার আগে নিরিবিলি গ্রাম ঘুরতে। মোরগেরা ডাকছে, দু-একজন পর্যটক বেরিয়েছে। গ্রামে ময়লার ঝুড়িগুলো বাঁশের। রাস্তার দুপাশে ছোট-বড় গাছ ও ফুলের বাগান। ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলাম বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্টের দিকে। বাঁশের টাওয়ার। এখানে উঠে পর্যটকেরা বাংলাদেশ দেখে। মেঘে ঢাকা থাকায় ওপর থেকে দূরে দেখা যাচ্ছে না। আরও পড়ুন: মাওকিডহ এসে একপশলা বৃষ্টির মুখে

এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয় মেয়ে ওপরে উঠে অপেক্ষা করছে। তাদের সুযোগ দিয়ে কয়েকটি ছবি তুলে নিচে নেমে গেলাম। টাওয়ারে চড়তে জনপ্রতি ২০ রুপি ফি। ওয়াচ টাওয়ারের দায়িত্বে থাকা ছেলেটি জানাল, এ বছর মার্চে টাওয়াটি বানানো হয়েছে। খরচ পড়েছে ৮০ হাজার টাকা। বাঁশের হওয়ায় প্রতিবছর নতুন করে তৈরি করতে হয়। লেখা: সানজাদুল ইসলাম সাফা।