গত তিন দিন ধরে জ্বলছে দিল্লি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে চাপানউতোর চললেও, এ যাবৎ নীরব ছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার নীরবতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিবাসীকে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আর্জি জানালেন তিনি।
এ দিন টুইটারে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘‘শান্তি এবং সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির মূল কথা। দিল্লির ভাই-বোনেদের কাছে অনুরোধ, সর্বদা শান্তি এবং সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন। যত দ্রুত সম্ভব দিল্লিতে শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসাটা জরুরি।’’
গত তিন দিন ধরে দিল্লিতে অশান্তি যখন তুঙ্গে, সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আতিথেয়তায় ব্যস্ত ছিলেন মোদী। ওই সময়ে রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে একটি শব্দও খরচ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। তা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরাও। তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন দিল্লির বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি।
টুইটারে মোদী লেখেন, ‘‘দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি আমি। অতি দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, শান্তি ফিরে আসে, তার জন্য পুলিশ এবং অন্য সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ করে চলেছে।’’
এর আগে, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গাঁধী। মানুষের মনে ঘৃণা এবং আতঙ্ক ছড়ানোয় সেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে একহাত নেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, মৃতের সংখ্যা ২০ ছুঁলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কেন চুপ? দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার দাবিও তোলেন সনিয়া। সূত্র: আনন্দবাজার
প্রবাসী টিভির ইউটিউব চ্যানেলে যোগ দিতে এখানে ক্লিক করুন।