আজ শুভ জন্মাষ্টমী। জন্মাষ্টমী মানব সমাজকে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধনের শিক্ষা দেয়। এই দিনটি হলো ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি।
সনাতন ধর্মের প্রচলিত খ্রিষ্টপূর্ব বহু প্রাচীন কাল থেকেই শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে বিশ্বের শান্তি, মঙ্গলকামনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন এ জন্মোৎসব পালন করে আসছে। অশুভ শক্তির বিস্তার প্রতিহত করতে সৃষ্টির কল্যাণকামী অবতারে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীকৃষ্ণ।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ। আধ্যাত্মিক বিবেচনায় দ্বাপর যুগের শেষ দিকে দুষ্টের দমনে শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার লক্ষে মর্তে তাঁর অবতীর্ণ। মানবরূপ পৃথিবীর আর্বিভাবের কারণ সম্পর্কে গীতায় তিনি বলেছেন- ‘যদা যদাহি ধর্মস্য গ্লানি ভবতি ভারত। অভ্যুণ্থানম ধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম। পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশয় চ – দুষ্কৃতাম। ধর্ম সংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে’। সনাতন ধর্মের মানবতাবাদী চরিত্রের চিত্রিত পুরুষোত্তম, প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের জীবনী পাঠ ও কর্মকান্ড বিশ্ব সমাজকে আবদ্ধ করার মাধ্যমে মানব সমাজকে শিক্ষা দেয়, তথাপি জন্মাষ্টমী ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন।
তা-ই এক শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রতিবছর হিন্দুপঞ্জিকা অনুযায়ী সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধন্য হয় তখন জন্মাষ্টমীর নানা ভাবগাম্ভীর্যের পূজা-অর্চনা, আচার-অনুষ্ঠান আমাদের মাঝে নিয়ে আসে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে এক শুভ আনন্দময় ক্ষণ।
লেখা: ডি কে মহন্ত, দিনাজপুর।