আপনি যদি যোগ্য হোন তবেই ধরা দেবে চাকরি নামের সোনার হরিণ। কিন্তু ফ্রেশার হলে যোগ্যতা কিভাবে প্রমাণ করবেন? আর আপনি নতুন হলে অভিজ্ঞতা নিয়ে তো কোন কথাই নেই। এত কিছুর পরও এদেশে সাধারণত প্রায় সব চাকরির বিজ্ঞাপনগুলোয় অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। কিন্তু সদ্য ভার্সিটি ডিঙ্গানো নতুনদের তা নেই। ফলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে যোগ্য মনে হলেও সিভি পাঠান না। তখন মনে কষ্ট নিয়ে বসে ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
অনেকে আবার অভিজ্ঞতা ছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খুঁজেন। কারণ কিছু প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞ লোকের পাশাপাশি নতুনদের খুঁজে নেন এবং অভিজ্ঞতা না থাকলেও চাকরি দেয়। নিয়োগকর্তাকে অভিজ্ঞতা দেখাতে সবচেয়ে সহজ ফর্মুলা হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম জব করা। মানব সম্পদবিভাগ থেকে জানতে চাওয়া হয়, কোন রকম অভিজ্ঞতা রয়েছে কিনা? আসলে মানবসম্পদ বিভাগ আপনার পেশাগত জীবন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায়, আগের কী করেছেন। সাক্ষাৎকারে নবীনদের অভিজ্ঞতা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় না, বরং এই ধরণের কাজে প্রার্থীর পূর্ব ধারণা বিবেচনায় নেয়া হয়। এক্ষেত্রে আপনি ফ্রেশার, অভিজ্ঞতা নেই। এই কথা প্রকাশে প্রতিষ্ঠান আপনাকে বিবেচনায় করতে দায়বদ্ধ না।
এসব জাটলতায় দেখা যায়, নিয়োগদাতা প্রকৃত কর্মীর বাছাই করতে পারেন না। আর যোগ্যরা নিজেদের অভিজ্ঞতাহীনতায় অযোগ্য ভেবে আবেদন করে না। তাই অন্তত একবার ভেবে দেখুন, সত্যি কি একদম অভিজ্ঞতা নেই? আপনার শিক্ষা জীবনে কী অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়নি।
আপনি খুঁজলে দেখবেন এতদিনে আপনার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তা না হলে কোন ইভেন্ট আয়োজন করতে পারেন, মেলায় কাজ করতে পারেন। কোন দল পরিচালনা করুন। খুঁজে পেতে সম্ভাব্য কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। আর এই কাজগুলোর অভিজ্ঞতা ছাত্রাবস্থায় নিতে পারেন। বিদেশে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় বিঘ্ন না করে ফাঁকে ফাঁকে রেস্টুরেন্ট, শপ কিংবা কলসেন্টারে কাজ করে নিজের খরচও মেটান।
তাই যাদের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে চাকরির আবেদন করতে পারেন না, তারা ভাবুন আপনি কাজে পারদর্শী। আর কী করতেপারেন। সেই বিষয়গুলো জীবনবৃত্তান্তে অভিজ্ঞতা হিসেবে গুছিয়ে তুলে ধরুন। এতে নিয়োগদাতা আপনার সম্পর্কে সহজে পূর্ণ ধারণা পাবে। – প্রবাসী টিভি/ এসআইএস।