ফ্রান্সের জনপ্রিয় চার পর্যটন স্থান

আইফেল টাওয়ার

ইউরোপের পর্যটক প্রিয় স্থানগুলোর কথা আসলেই প্রথমে চলে আসে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের ছবি। রাজধানী প্যারিসে এই ল্যান্ডমার্কের অবস্থান।
গুস্তাভো আইফেল বিখ্যাত এই টাওয়ারের স্থপতি। ১৮৮৯ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়। টাওয়ারটির উচ্চতা ৩২৪ মিটার। তিন স্তরের টাওয়ারের তৃতীয় তলা থেকে প্যারিস দেখার জন্য দর্শনার্থীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়।

ছবিতে মালাইকা অরোরা এবং ১২ বছরের ছোট অর্জুন কাপুর

মন্ট সেন্ট-মিচেল

ক্ষুদ্র দ্বীপে মন্ট সেন্ট-মিচেল একটি সুন্দর দূর্গ। উত্তর উপকূল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ইউরোপের সবচেয়ে জোয়ার প্রবণ এলাকা। ৬৫৬০ হেক্টর এলাকা নিয়ে মন্ট সেন্ট-মিচেল দ্বীপটির আয়তন।

বন্দিদের ডায়াপার পড়ানো হয়েছিল

মধ্যযুগের নিদর্শন এই দূর্গটি পরবর্তীতে গির্জায় ব্যবহৃত হলে ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ স্পটে পরিণত হয়। প্রায় ৩০ লক্ষ পর্যটক প্রতি বছর গির্জাটি পরিদর্শনে। ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কো মন্ট সেন্ট-মিচেলকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী অংশ হিসেবে ঘোষণা করে।

ছবিতে বাঙালি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত

ভার্সাইল

ছোট্ট গ্রামটি অট্টালিকার জন্য পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। জায়গাটি ফরাসি শিল্পের সেরা নিদর্শনগুলোরও একটি। প্রধান ভবনটি ১৬২৪ সালে ত্রয়োদশ লুই প্রথমে নির্মাণ করে ও শিকারের লজ হিসেবে ব্যবহার করতেন।

পরে প্রাসাদটির চারপাশে বাগান তৈরি করা হয়। ১৮৩০  সালে এই ভবনটি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়। প্রতি বছর লাখো দর্শনার্থী শৈল্পিক এই প্রাসাদটি দেখতে ছোট্ট ভার্সাইল গ্রামে বেড়াতে আসে।

খোলা পোশাকে আমির কন্যা ইরা খান (Ira Khan)

লুভ্যর মিউজিয়াম

সারা বিশ্বেই নামকরা প্যারিসের লুভ্যর মিউজিয়াম। বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃত। ১২০০ সালের দিকে মিউজিয়ামটি নির্মাণ হয়। সম্রাট প্রথম নেপোলিয়ানের আমলে ফ্রান্সের প্রভাব সারা ইউরোপে জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের রোজাগার

সেসময় নেপোলিয়ান বিভিন্ন দেশ থেকে লুট করে আনা মহামূল্যবান বস্তুগুলো এখানে রাখতেন। নেপোলিয়ানের পতন হলে এসব দ্রব্য দেশগুলো ফিরে পায়। পরবর্তীতে ১৮৪৮ সালে লুভ্যর ফ্রান্সের সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

অনেক বিখ্যাত শিল্পীর শিল্পকর্ম লুভ্যর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি আঁকা ‘মোনালিসা’ লুভ্যর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।

প্রবাসী টিভির ইউটিউব চ্যানেলে যোগ দিতে এখানে ক্লিক করুন।