মেঘের রাজ্য মেঘালয় ভ্রমণ: পর্ব ১

মেঘের রাজ্য মেঘালয়ের পথে। সময় অল্প, বাজেট স্বল্প। তামাবিল সীমান্তে পৌঁছাতেই ঘড়িতে সকাল ৯টা বেজেছে। সরকারি ছুটি থাকায় ইমিগ্রেশনে পর্যটকদের প্রচণ্ড ভিড়। সকাল ১০টায় তামাবিলে ইমিগ্রেশনে পৌঁছালেও ওপারে ঢুকতে ১২টা বেজেছে। ভারতের দিকেও বিশাল জট। ওপারে ডাউকি ইমিগ্রেশন পাড় হতে বেলা ৩.৩০। এখানেই প্রায় প্রথমদিন শেষ।

দুপুরের খাবারের সন্ধানে ট্যাক্সি ভাড়া না করে ডাউকি বাজারে চলে আসি। তবে এখানে তেমন কিছু না পেয়ে শিলং যেতে লোকাল জিপ উঠি। ভারতে বেড়াতে গেলে লোকাল বাহনে যাতায়াত আমার পছন্দ। তাতে স্থানীয় মানুষের সাথে গল্প জমানোর একইসঙ্গে পয়সাও স্বাশ্রয়। গাড়ির চালকসহ যাত্রীরা খাসিয়া। মেঘালয়ের ৪৫% মানুষ খাসিয়া সম্প্রদায়ের। এ ছাড়াও রাজ্যটিতে গারো, নেপালি, কোচ, জৈন্তিয়া, হাজং এবং শেখদেরও বসবাস। তবে খাসি ও গারো ভাষা প্রচলিত। তাই হিন্দি ও ইংরেজি দক্ষতা থাকলেও স্থানীয় মানুষজনের সাথে কথাবার্তায় সমস্যা হতে পারে।

তনুশ্রী দত্ত একজন ভারতীয় মডেল এবং বলিউড অভিনেত্রী।ঝাড়খণ্ডের বাঙালি হিন্দু পরিবারের মেয়ে।

প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড বলে স্বীকৃত শিলংয়ের পথে চলছি। আড়াই ঘণ্টার উঠানামা রাস্তা। বড় পাহাড়ের সারি। আর পাহাড়ী সুন্দর রাস্তায় জিপ চলছে।

জিপের খাসিয়া যাত্রীদের ভাষা বোঝা অসম্ভব। তবু বারবার বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছি। জিপের মাঝের সারির সিটে একজন খাসিয়া মহিলা মেয়েকে নিয়ে বসেন। হিন্দির পাশাপাশি বাংলাও জানেন। মেয়েটি ইয়ারফোনে গান শুনছেন। আর সেও প্রায় জোরে খাসিয়া গানে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন।

নিজের বিয়ের ভাবনা এবং ছেলের বলিউডে অভিনয়! যা বললেন মালাইকা আরোরা

অল্প সময়ে ওই মহিলার সাথে আলাপ পুরোপুরি জমেছে। তার কাছ থেকে মেঘালয় ভ্রমণের প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিচ্ছি। উনিও বাংলাদেশ নিয়ে জানতে চাচ্ছেন। তার স্বজনদের কয়েকজন সিলেটে বাস করেন।

জিপের জানালা দিয়ে বাইরে তাকতেই অবাক হচ্ছি। আমাদের দেশের একেবারে কাছে কিন্তু প্রকৃতির রূপ পুরোপুরি ভিন্ন। ডাউকির রাস্তা থেকে জাফলংয়ে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। ভারতের দিকেও পর্যটকেরা বাংলাদেশ দেখার আগ্রহে আসেন। মেঘালয়ের উঁচু থেকে বাংলাদেশের সমতল ভূমি দেখা পর্যটকদের নিকট ভিন্ন আকর্ষণ।

সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে করনীয় ?

ডাউকি টু শিলং সড়ক ঘুরে ঘুরে পাহাড়ের ওপরে উঠছে। হাজার ফুট উঁচ্চতায় থেকে নিচের দৃশ্য, দেখে প্রাণ ভরে না। পাহাড়ি রাস্তায় জিপ এগিয়ে চলছে। মাঝে যাত্রী ওঠানামা। বিশাল রেঞ্জের পাহাড়ে বিস্তীর্ণ খোলা জায়গা। দৃষ্টি বহুদূর পর্যন্ত পৌঁছে। পুরো পথের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে দেখতে প্র্যচ্যের স্কটল্যান্ডে এসেছি। প্রায় মিনিট ৩০ পরে সন্ধ্যা। চলবে…

লেখা: সানজাদুল ইসলাম সাফা।

প্রবাসী টিভির ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিতে এখানে ক্লিক করুন।