গাড়ির লাগামহীন ব্যয়ের কারণে অনেকেই গাড়ি ব্যবহার অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। আবার গ্যারেজে রেখেও প্রতিমাসে চালকের সম্মানি দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে দেয়াটা মোটেও যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। শুধু আপনার একটু সচেতনতাই পারে গাড়ির তেল খরচ হাতের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে।
সড়কে গাড়ি চালানো অবস্থায় দেখেশুনে স্বাভাবিক গতিতে চালানো উচিত। এতে যেকোন ছোটবড় দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি বাঁচবে জ্বালানি খরচও। যানবাহনের অতিরিক্ত গতির কারণে হার্ডব্রেক ও ঘনঘন গতিবেগ পরিবর্তন করা হলে তেল বা গ্যাসের খরচটা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে একটু সচেতন হলে মহাসড়কেই জ্বালানি ব্যয় ৩০ থেকে ৩৩ ভাগ পর্যন্ত কমানো যেতে পারে।
গাড়িতে অনেকেই আমরা অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস রেখে দেই। সম্ভব হলে এই জিনিসগুলো গাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এক গবেষণায় দেখে গেছে, প্রতি ১০০ পাউন্ড অতিরিক্ত ওজনের জন্য ২ শতাংশ বেশি জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত এই জ্বালানি সঞ্চয়ের মাধ্যমে পরবর্তী পথে কাজে লাগানো যেতে পারে।
গাড়ি চালানোর আগে অতিরিক্ত সময় ইঞ্জিন চালু রাখলে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায় তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই ভুলটি আমরা নিয়মিতই করি। গাড়ি ছাড়ার বেশি পূর্বে ইঞ্জিন চালু করা একেবারেই পরিত্যাগ করতে হবে। সম্ভব হলে ৩০ সেকেন্ডের আগে নয়ই। যদি অপেক্ষা করার প্রয়োজন দেখা দেয় তবে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়াটাই বুদ্ধিমানের পরিচয়। গাড়িতে সবার বসার হলে ইঞ্জিন চালু করা হলে জ্বালানি খরচ বাঁচবে অনেকাংশে।
একটু সচেতন হলে আপনার যানবাহনের জ্বালানি খরচ চলে আসবে সাধ্যের মধ্যে। নিজে কিংবা আপনার চালক যিনিই গাড়ি চালাক মাস শেষে দেখবন জ্বালানি সাশ্রয় হবেই। তাই চালকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে রাখুন।