ঢাবি: যেখানে নোংরা-অগোছালো পরিবেশ, শিশুশ্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলোর নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। সেখানে ভিন্নরূপে চোখে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনটিকে।
সুন্দর সুন্দর ওয়ালমেট এবং ফুল দিয়ে সাজানো, বেশ গোছালো এবং পরিপাটি, কোনো শিশুরাও ক্যান্টিনে কাজ করছে না। কথা হয় ক্যান্টিনের মালিক বাবুল এর সাথে জিজ্ঞেস করি হঠাৎ কেন এত পরিবর্তন? তিনি জানান, এত দিন যেটি ক্যান্টিন হিসেবে ছিল সেটি ছোট থাকায় অনেক কিছু চাইতাম কিন্তু সম্ভব হত না। তবে নতুন ক্যান্টিন হওয়ায় ভাবলাম এটি সুন্দর করে সাজানো দরকার, এখানে সব মেধাবীরা পড়াশুনা করে তাদের একটি ভালো পরিবেশ দরকার এবং এ হলের শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো তাই এরকম উদ্দ্যোগ। আরো অনেক কিছু করার পরিকল্পনা করেছি। আমি মুর্খ-সুর্খ মানুষ আমার ভুল ভ্রান্তি কিছু হয়ে যেতে পারে।
ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নয়নের ব্যাপারে আপানার কি পরিকল্পনা আছে? জবাবে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অনেক সহযোগিতা করছে , আমাদের আর একটু সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু আমাদের খাবারের দাম নির্দিষ্ট করে দেয়া, কিন্তু বাজার দর বাড়ে কমে। তাই ভালো খাওয়াতে গেলে অনেক সময় দাম একটু বেশি নিতে হয়, কিন্তু সবার পারিবারিক অবস্থা ভালো না থাকায় দাম বেশি নেয়া যায় না, তাই এক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। তিনি জানান, প্রতি ব্যাচের দু’একজন হলের আবাসিক দরিদ্র শিক্ষার্থী তার কাছে বিনামূল্যে খাচ্ছেন।
পরিশেষে প্রশ্ন করি হলের শিক্ষার্থীদের কাছে আপনার চাওয়ার কিছু আছে কি? তিনি বলেন, আমার শিক্ষার্থীদের কাছে শুধুমাত্র এ টুকু চাওয়ার যে তারা ভালোভাবে পড়াশুনা করবে, মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করবে এবং আমাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করবে। উল্লেখ্য, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সাল বঙ্গবন্ধু হলে এবং ২০০৩ থেকে বর্তমান পর্যন্ত স্যার এ এফ রহমান হলে দীর্ঘ সময় ধরে ক্যান্টিন পরিচালনা করে আসছেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্যান্টিনের বর্তমান পরিবেশে তারা খুবই খুশি। তবে তারা কিছু পুরাতন প্লেটের পরিবর্তন চান।