বাকেরগঞ্জে পুলের বেহাল দশা: দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

বেলাল হোসেন, বাকেরগঞ্জ বরিশাল: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশীবপুর  ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামের নদীতে রয়েছে ঝুঁকি পূর্ন পুল| জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এখানকার দুইপারের হাজার হাজার মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় দশ গ্রামের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।

মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা পুলের উপর গাছ দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী লোকজন যাতায়াত করছে। বিশেষ করে সোনার বাংলা হাই স্কুল, চৌতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,  কাঠালতলী আকতার হোসেন  কলেজ, মহেশপুর আফসার আলী ডিগ্রী কলেজ এর শিক্ষার্থী -শিক্ষকগন এই পুল দিয়েই চলাচল করে। এই পুল দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন শিশু, রোগী, বৃদ্ধা নারী-পুরুষ ও গর্ভবতী মহিলারা। তাছড়া নদীর উভয় পাড়ের মানুষ তাদের উৎপাদিত খাদ্য-শস্যে, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন প্রকারের কাঁচামাল স্থানীয় বাজার কিংবা দূরের কোন হাটে নিয়ে আসতে অসুবিধার সম্মুখীন হন।

 
বর্তমান ইউ পি সদস্য রফিক হাওলাদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি বিষয় টি কয়েকবার চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। তিনি মেরামতের ব্যাবস্থা করবেন বলে জানালেও কোন প্রতিকার পাননি।সোনারবাংলা স্কুল কমিটির সভাপতি দুলাল আকন জানান, তিনিও কয়েকবার এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলেছেন। তিনি কোন প্রকার পদক্ষেপ নেন নি এ ব্যপারে।

এদিকে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি এক বছর হলো চেয়ারম্যান  হয়েছি। এর মধ্যে আমি বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিত্যক্ত পুল গুলো সংস্করণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সোনার বাংলা স্কুলের ছাত্র নাইম জানান, আমাদের ভয় লাগে এই পুল পার হতে। যে কোনো সময় পুলের ফাঁক থেকে  পরে যেতে পারি। ব্যবসায়ী জামাল খান বলেন, গ্রামবাসীদের উদ্যোগে মাঝে মাঝে বাঁশ কাঠ এবং গাছ দিয়ে চলাচলের উপযোগি করে কোনমতে চালাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে। এর আগে  আরো ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হত  এ এলাকার মানুষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া  নদীর ওপর পুলের পাটা না  থাকায় দু’পারের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পুলটি  মেরামত না হওয়ার কারনে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি ক্ষেত্রেও গ্রামের লোকজনকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, এখানে নদির  ওপর ভাংগা পুল দিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে।  বর্ষা মৌসুমে ছোট-ছোট কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ভাঙা পুল দিয়ে আসা যাওয়া করতে দারুন অসুবিধায় পরতে হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে পুলটি মেরামত  করা হলে এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এলাকাবাসীরা আরো জানান, নদীর উপর ভাঙা পুল দিয়ে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। অনেক সময়ে পথচারীরা পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। বেশি অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে রোগী, ছোট ছোট স্কুলের ছাত্র ছাত্রী এবং বয়স্ক লোকদের।  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  সুদৃষ্টি  কামনা করছেন এলাকাবাসী।