জাকির হোসেন, শার্শা, যশোর: যশোরের নাভারন মোড়ে ২ পিচ স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন কলারোয়ার আজাহারুল ইসলাম শামীম (২৮) নামের ইয়াবা ব্যবসায়ী এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১১ ই জানুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে কলারোয়াথানার এস আই শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে পৌর বাজারের খুকু সুপার মার্কেটের নিচতলা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর শামীমের কাছ থেকে ৫১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে থানা পুলিশ। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত জেল্লাল হোসেন জানান- এ ঘটনায় আটক ইয়াবা ব্যবসায়ী শামীমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্যনিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা ৭(১)১৯ দায়ের করা হয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়,কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়াইউনিয়নের লোহাকুড়া গ্রামের মৃত অজিয়ার রহমানের ছেলে আজাহারুল ইসলাম শামীম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও স্বর্ণ পাচারের সাথে প্রত্যাক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। এ ছাড়া তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতো শামীমের নিকটতম দুই সহপাঠি কালী ও সন্দীপসহ আরও অনেকেই।
শেখ হাসিনার সরকার যখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেন। ঠিক তখন আইন-শৃঙ্খলার সদস্যদের মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীদের চিরতরে নিমূর্লের জন্য সারা দেশে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করলে মাদক ব্যবসায়ী শামীমসহ তার সহযোগিরা আত্নগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মাদক ব্যবসায়ীরা আবারও এলাকায় ফিরে এসে মাদকের কারবার শুরু করেন। প্রতিনিয়ত সীমান্ত এলাকা থেকে শামীমসহ নামধারী সহযোগিদের নেতৃত্বে ইয়াবা ও স্বর্ণের বড় বড় চালান পাচার করতেন আইন শৃঙ্খলার চোখ ফাঁকি দিয়ে। অল্পদিনে বনে যান অঢেল টাকার মালিক ও বিলাসিতা জীবন যাপন। এরপর পরিচয় হয় কলারোয়া থানার এক দারোগার সাথে। দারোগা এএসআই ইসহাক আলী কলারোয়া থানায় যোগদান করার পর কলারোয়া পৌর সদরের একটিস্বর্ণ পাচারকারী দলের সাথে যুক্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকা দিয়ে স্বর্ণ পাচার করে চলছেন। গত ২রা জানুয়ারি দুই পিচ স্বর্ণসহ দারোগা ইসহাক আলীসহ চারজনকে যশোরের নাভারন মোড় থেকে শার্শা থানা পুলিশ আটক করেন।
সেই ঘটনায় শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়ে আটক চার জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। স্বর্ণ পাচারের সময় জব্দ করা হয় একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার।