মানবদেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণে ও জটিল রোগ প্রতিরোধে অন্যতম খাদ্য উৎস হতে পারে অচাষকৃত উদ্ভিদ। ফলে আর আমাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে রাসায়নিক নির্ভর উদ্ভিদ বৈচিত্রের প্রতি নির্ভর করতে হবে না। অচাষকৃত শাকপাতা, লতার মতো গুল্ম ঔষধি উদ্ভিদগুলো আমাদের গ্রামাঞ্চলে দেহের পুষ্টির মেটাচ্ছে।
এ উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সুরক্ষার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে সাতক্ষীরা শ্যামনগরে শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠন এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের যৌথ উদ্যোগে সহযোগিতায় উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের আঙিনায় গড়ে তোলা হয়েছে প্রদশর্ণী প্লট। যেখানে স্থান পেয়েছে বিলশাক, তেলাকচু, কলমীশাক, হেলাঞ্চ ও মাটিফোড়া শাকসহ প্রায় ২০ প্রজাতির কুড়িয়ে পাওয়া সবজী।
যৌন সম্পর্কে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে সারভাইক্যাল ক্যানসার
উপজেলার কাচড়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা রেনুকা রানী বলেন প্রকৃতিগতভাবে উৎপন্ন সবজি নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সকল বয়সের মানুষের জন্য খুব উপকারী।
ইপিএলসি ফেলো গবেষক পাভেল পার্থ জানান, কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত উদ্ভিদগুলো মানুষ ও বন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অচাষকৃত উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণী সংরক্ষণের লক্ষ্যে অচাষকৃত উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা জরুরি।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার
অচাষকৃত উদ্ভিদবৈচিত্র্য সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, অচাষকৃত উদ্ভিদবৈচিত্র্য পুষ্টির গুনাগুণ বিচার আমাদের কাছে মূল্যবান। আমাদের সমন্বিত উদ্যোগের ফলে নতুন প্রজন্ম এসবের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবণ করে সংরক্ষণে আগ্রহী হবে।
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়া জানান, অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য পারিবারিক খাদ্য চাহিদা পূরণসহ ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ। এটি সংরক্ষণে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।