বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মধু চাষে সাফল্যে পেয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার একমাত্র নারী মৌ চাষী করুণা রানী সরদার (৫২)। গত ১৭ বছর ধরে তিনি দেশের নানা প্রান্তে মৌ বাক্স বাসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন। এই উদ্যেমী নারী উদ্যোক্তার বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চুনকুড়ি গ্রামে।
ইউরোপের বাজারে সাতক্ষীরার আম
পরিশ্রম ও আগ্রহকে পুঁজি করে করুণা রাণী এখন স্বাবলম্বী। মৌ চাষের আয়ের করুণা চিংড়ী ঘের, পাকা বাড়ি এবং জমি কিনতে পেরেছেন। সেইসঙ্গে সন্তানদের স্কুলে পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছেন।
সাতক্ষীরার হাসিনা খাতুনের বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ
২০০৩ সালে করুণার স্বামী ভূপেন্দ্র নাথের সহযোগিতায় মুধ চাষ আরম্ভ করেন। করুণা রানী জানান, বিসিক ও প্রশিকার সহায়তায় ডরসেটা, সেরেনা, ফোরিয়া ও মেলিফেরা এই চার জাতের মৌমাছি চাষ করছেন। বর্তমানে তার ১৭৫টি মৌ বাক্স আছে। যেখানে মেীমাছির সংখ্যা রয়েছে ১০৫০টি।
শ্যামনগরে যমুনা নদী পরিস্কার কর্মসূচি
করুণা রানী নিজের মৌ চাষ প্রকল্পের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মধু সংগ্রহে গেলে নিরাপত্তার অভাববোধ করতে হয়। সরকারী-বেসরকারীভাবে বাজারজাত করণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মধুর ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না।
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণ উৎসব
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তার এলাকায় মধুর প্রতি কেজি মূল্য ৪৫০-৫০০ টাকা। ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আবুল হোসেন মিয়া বলেন, মৌ চাষী করুণা রানী বাংলাদেশের একটি মডেল। তার সফলতা দেখে অনেক চাষ আগ্রহী হবে। করুণা রানীর সফলতায় কৃষি অফিস পাশে থাকবেন বলে জানান।