দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপে বিক্রি বাড়ছে সাতক্ষীরার আমের। এ বছর ইউরোপের পাশাপশি আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশেও আম রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
বেসরকারি সংস্থা সলিডারিডাড ও উত্তরণের সহায়তায় এসব আম রপ্তানি হবে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্টান ইসলাম এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে এসব আম পৌঁছে যাবে ফ্রান্স ও ইতালিতে। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আম রপ্তানি কার্যক্রম চলবে ।
আম চাষি আলী রেজা বলেন, বাগানের আম দেশের বাইরে রপ্তানি হচ্ছে জেনে আামি খুব খুশি। রপ্তানীর নিশ্চয়তা পেলে চাষিরা আম চাষে আরও উৎসাহী হবে। সলিডারিডাড কর্মকর্তারা জানান, ধাপে ধাপে আম রপ্তানি বাড়ানো হবে।
জেলা কৃষি খামারবাড়ি সূত্রে মতে, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে গোবিন্দভোগ, ২২তারিখের পর থেকে হিমসাগর, ২৯ তারিখের পর থেকে ল্যাংড়া ও ৮ জুনের পর থেকে আম্রপালি আম বাজারে পাওয়া যাবে। চলতি মৌসুমে ফ্রান্স ও ইতালিতে আম যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম রয়েছে। এই সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রভাবে সাতক্ষীরার আম আগেই খাওয়ার উপযোগি হয়। এ অঞ্চলের আম আগে বাজারে পাওয়া যাওয়ায় চাহিদাও বেশি। উল্লেখ করেন, বিষমুক্ত ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করা গেলে বিশ্বব্যাপী আমের জেলা হিসেবে পরিচিতি করানো সম্ভব হবে।
১২মে জেলা প্রশাসনের র্নিদেশনার পর আম বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। বড় বাজার, পাটকেলঘাটা, তালা, কুমিরা, সাতক্ষীরা সদরসহ অন্যান্য স্থানে আমের বাজার বসছে। স্থানীয় আম ব্যবসায়ী ইসহাক বলেন, পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাজারে অবস্থান করছেন। দেশি আম ৩০ থেকে ৩৫টাকা, হিমসাগর ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আমের ফলন ভাল হলেও ঝড়ে অনেক আম নষ্ট হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরার আমের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচন্ড গরমে একটু আগে আম পেঁকেছে । মে মাসের প্রথম দিকে আম রাজধানী ঢাকায় পাঠানো আরম্ভ হয়।