চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আশরাফ


সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। রোববার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে দাফন করা হয়।

গত বছরের জুলাইতে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় ১৮ সেপ্টেম্বরে সংসদ থেকে ছুটি নেন। তিনি থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গেল ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেন।  কিন্তু সংসদ সদস্য হিসেবে শপথের আগেই বৃহস্পতিবার রা
রাত পৌনে ১০টার দিকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে থাইল্যান্ড থেকে মরদেহ দেশে আসে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণ করেন। মরদেহ রাজধানীর বেইলি রোডে সৈয়দ আশরাফের সরকারি বাসভবনে নেওয়া হয়। রাতে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

রোববার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জানাজায় অংশ নেন। মরদেহকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানাজার পর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে তাঁর জানাজায় কিশোরগঞ্জে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। এরপর মরদেহ হেলিকপ্টারে ময়মনসিংহে নেয় হয়। সেখানে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ ঢাকায় দাফন করা হয়।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর তার স্ত্রী শিলা ইসলাম মারা যান।  তার একমাত্র কন্যা  রীমা ইসলাম পেশায় ব্যাংকার। ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। তিনি থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। – প্রবাসী টিভি।

ভিডিও: লুৎফুজ্জামান বাবরের সাক্ষাৎকার দেখতে ক্লিক করুন।