একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ছবি তুলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচনকমিশন (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। ভোট কক্ষে সাংবাদিকরা প্রবেশ ও ছবি তুলতে পারবে। তবে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। শনিবার নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনেএসব কথা বলেন সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা এবং পরিদর্শনে সাংবাদিকরা কর্মীদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আজকের মিটিংয়ে পর্যালোচনা করাহয়েছে। আচারণবিধিপ্রতিপালন অবহিত করে সামনের সপ্তাহে টিভিতে বিজ্ঞাপন সম্প্রচারিত হবে। সিইসি আরও বলেন, সাংবাদিকরা ভোট কেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে না। ভোটগ্রহনের সময় কর্মকর্তাদের কোন অসুবিধা না হতে কেন্দ্রেসীমিত সংখ্যক সাংবাদিক যেতে পা্রবে। বাংলাদেশী পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি বিদেশী পর্যবেক্ষকরাও সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে। সকল নীতিমালা সবাইকে মেনে চলতে হবে। কেন্দ্রের ভেতরে বেশি সময় থাকতে পারবে না। লাইভ সংবাদ প্রচার করতে পারবেনা। গোপন কক্ষের ফটো তোলা যাবে না।
তবে, কেন্দ্রের বাইরে থেকে লাইভে সংবাদ সম্প্রচার করা যাবে। ভোট পরিচালনায় প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের বসার স্থানে এক সঙ্গে গেলে তাদের কাজের অসুবিধা হয়। তবে ভোট কেন্দ্রের বারান্দা থেকে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের কাজে বিরক্ত করা যাবে না, এমন কথা জানিয়েছেন সিইসি।নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। তবে মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেট এর গতি কমানোর ব্যাপারে কো্ন সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয় নি। আচারণ বিধির ব্যাপারে তিনি বলেন, ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি । তাদের কাছে কোন অভিযোগ এলে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেবে। নির্বাচনার পরিচালনার বেশিভাগ দায়িত্বে রিটার্নি অফিসাররা। এ ছাড়াও নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
বিরোধীদলগুলোর ওপর হামলা ও পুলিশি হয়রানির অভিযোগে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেব।নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, সেনাবাহিনীর হাতে কোন ম্যাজিস্ট্রিসি ক্ষমতা দেওয়া হয় নি। কেএইচ/ এসআইএস- প্রবাসী টিভি।