আম্মারা মাজহার নামের এক তরুণী নিজেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে হিসেবে দাবি করেছেন। ওই তরুণী পাকিস্থানের লাহোরের বাসিন্দা। মেয়েটির নিজেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান দাবি করেছেন। গেল সপ্তাহে পাকিস্তানের কয়েক পত্রিকায় খবরটি বের হয়।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্তমানে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সব দেশেই ছড়িয়ে আছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বীজ। এরই মধ্যে এক চমকপ্রদ খবর বেরিয়েছে। আম্মারা মাজহার নামের এক তরুণী নিজেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে হিসেবে দাবি করেছেন। ওই তরুণী পাকিস্থানের লাহোরের বাসিন্দা। মেয়েটির নিজেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান দাবি করেছেন। গেল সপ্তাহে পাকিস্তানের কয়েক পত্রিকায় খবরটি বের হয়।
কিন্তু সে কি আসলেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে? যদি মেয়ে হয় তাহলে সে পাকিস্তানে আসলো কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই তরুণী বলেন, তার জন্ম আমেরিকাতে হয়েছে। তার শৈশব সেখানেই কেটেছে। অপহরণ করে তাকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তিনি বড় হন। নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি পাকিস্তানের একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আম্মারা মাজহার আরও বলেন, আমি ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানার গর্ভজাত সন্তান এবং আমার মা ইভানা। পাকিস্তানের আদালত আম্মারা মাজহারের মামলটিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন। লাহরের উচ্চ অঅদালত মামলা গ্রহণ করেছে । তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প আম্মারা মাজহারের পিতা এমন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির এক চিকিৎসক।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মোট বিয়ে করেছেন তিনটি। ইভানা ট্রাম্প তাহার প্রথম স্ত্রী। তাদের বিয়ে হয় ১৯৯৭ সালে। ১৫ বছর সংসার করার পর ১৯৯২ সালে ভেঙ্গে যায় তাদের ঘর। এরপর ১৯৯৩ সালে মারলা মাপেলস নামের এক সুন্দরী মহিলাকে বিয়ে করেন । ২০০৫ সালে তৃতীয় বিয়ে করেন জনপ্রীয় মডেলার মেল আনিয়া ট্রাম্পকে। তবে প্রথম বিয়েটি ভেঙ্গে গেলেও টিকে রয়েছে তার পরবর্তী দুটি বিয়ে। আম্মারা মাজহার সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, আমি যদি হাই কোর্টে সুবিচার না পাই তাহলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করবো। আম্মারা মাজহার তার জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার জন্য খুব আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি আমার বাবার কাছে ফিরে যেতে চাই। কেএইচ/ এসআইএস- প্রবাসী টিভি।