অবিশ্বাসীরাই নবাবজাদীর শাড়ী টানছে!

সোহেল মাহমুদ: সারা দেশে এমন মৃত্যু কি অস্বাভাবিক?
কিন্তু, সেই মৃতের সৎকারে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো অস্বাভাবিক।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে শনিবার রাতের এ মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা। রোববার দিনে তার মরদেহ বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার সময়ের ছবি। তিনি করোনায় আক্রান্ত? যারা দেখেছেন, বেশিরভাগের কৌতূহল আর আতঙ্ক এ নিয়ে।

গত দুইদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু, সাধারণ মানুষ একথা বিশ্বাস করতে চায় না। সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য অভিজ্ঞ বা সক্ষম নয়, এমন কথা বলেছেন কেউ। কারোর কথা, সরকার লুকোচুরির তত্ত্ব অনুসরণ করছে এবং এটির ফল হবে ভায়বহ। কোন রোগী পাওয়া যায়নি বলে যারা বিশ্বাস করেন তাদের যুক্তি, “নানা কারণে বাংলাদেশসহ সে অঞ্চলে করোনার প্রভাব কার্যকরী নয় এখনো। সে চিত্রটা ফুটে ওঠেছে সরকারের পরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু, একদল মানুষ সবকিছুতে সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করে।”

বাস্তবতা আর সত্য যাই হোক, আমিও সরকারের রিপোর্ট বিশ্বাস করতে চাই। আমি চাই, আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্ত একজনও পাওয়া না যাক। এ মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে আছি। করোনায় তারা লণ্ডভণ্ড। অর্থনীতি শেষ। সমাজ শেষ। আবার জেগে ওঠা, সেটি কবে, কেউ জানে না। এ পরিস্থিতির এক ভাগও যদি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মোকাবেলা করতে হয়, ভাবতে পারি না কি হবে।

অর্থনীতি যাবে। সমাজ ব্যবস্থা তছনছ হয়ে যাবে। এক করোনায় সব লণ্ডভণ্ড যেতে পারে। এতে কারোর হাত নেই। বিজ্ঞান অসহায়। চীনকে দেখেন। ইতালী। স্পেন। ইরান। যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য। এরা আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। অথচ কি সঙিন তারা। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা নিয়ে প্রতিদিন ব্রিফিং হয়। তারা নিজেদের না থাকা, অভাবটাও বলে।

বাংলাদেশ বলে না কেনো?
বলে না, কারণ সরকার আতঙ্কে। লোকলজ্জা?
সবকিছুতে একটা চেপে যাওয়ার প্রবণতা। সব কিছুতে ফাজিলের মতো আচরণ। করোনার চেয়ে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী, এটা কি ফাজলামো নয়?। সরকার করোনা নিয়ে যা বলে, এতে বিশ্বাসী কম। সরকারও জনগণকে বিশ্বাসী করে তুলতে পারেনি। যে কারণে, অবিশ্বাসীরা নবাবজাদীর শাড়ি নিয়ে টানাটানি করছে।

সরকারী হিসেবে করোনায় আক্রান্ত নতুন কেউ নেই দেশে।
আমি বিশ্বাস করি না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারেরও বেশিরভাগ মানুষ এটা বিশ্বাস করে না। করোনা আক্রান্ত কেউ নেই, মানে যে প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাতে কাউকে পাওয়া যায়নি। গলদটা সেখানেই। পরীক্ষা করা হচ্ছে কাকে? কতোজনকে? সেটা জনসংখ্যার তুলনায় কতো শতাংশ? করোনার প্রভাবের আগেবথেকেই সরকারের কথায় মানুষের বিশ্বাস কম। এর ওপর, সরকারের মন্ত্রী, আর সরকারী দলের এমপি নেতারা যেভাবে কথা বলে, তাতে মনে হয়, সমৃদ্ধির সব সূচকে আমেরিকা, চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। করোনার মহামারীতেও কি সেই একই চিন্তা তাদের?

শেখ হাসিনার বাইরে কারোর ক্ষমতা আছে বলেতো মনে হয় না। সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীকে লাগে। এটার একটা কারণ হতে পারে, প্রধানমন্ত্রী কাজের লোক পছন্দ করেন না। তাই, দক্ষ লোক রাখেন নি পাশে। আরেকটা হতে পারে, জনগণে আস্থাহীনতার কারণে তাদের তুচ্ছজ্ঞান করা। পাত্তা না দেয়া। জনগণ ভোট দিয়ে নেতা বানাতে পারলে, দেশে সে প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে সব না হোক, অনেকের লেজ সোজা থাকতো। দুই হাজার চৌদ্দ সালে, টানা দ্বিতীয়বারের ক্ষমতারোহনের আগে থেকে জনগণকে তুচ্ছ করার প্রবণতা আওয়ামী লীগের। সরকার যা ইচ্ছা করছে। ভোট। নির্বাচন। উন্নয়ন। আইন। নিজেদের খেয়ালখুশি মতো সব। মানুষের ইচ্ছের প্রতিফলন নেই। তাদের কথা শোনার লোক নেই। এ কারণে মানুষ সরকারের সবকিছু সন্দেহের চোখে দেখে। সরকারও নিজের অভাব, অদক্ষতাকে দুর্বলতা ভেবে, সেটাকেই ঢাকতে জোর বেশি দিচ্ছে। ফেসবুক থেকে নেয়া।

আবারো বলছি, সরকার যা বলছে বিশ্বাস করতে চাই আমি। সাধারণ মানুষকে বলতে চাই, প্লিজ, সরকার যা বলছে বিশ্বাস করুন। আর ক’টা দিন।

করোনাভাইরাস সর্বশেষ আপডেট: ৩০ মার্চ

বাংলাদেশে সংখ্যা: ৪৯, মৃত্যু: ৫, সুস্থ্য: ১৯।
বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা: ৭২৪,২৭৮, মৃত্যু: ৩৪,০০৭, সুস্থ্য: ১৫২,০৬১।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত আরও খবর:

এয়ারপোর্টে থার্মাল স্ক্যানার পরীক্ষা পাশ করতে প্যারাসিটামল খেয়ে নামছেন অনেকে!

দেহে কী ভাবে ঢোকে? কোন পথে চালায় আক্রমণ?

করোনাভাইরাস রুখতে কলকাতায় গোমূত্র পান!

করোনাভাইরাস কী ভাবে ছড়াচ্ছে? লক্ষণ ও চিকিৎসা কী?

করােনার তথ্য জানাতে বাড়ানো হয়েছে হটলাইন নম্বর

করোনাভাইরাস রুখতে কলকাতায় গোমূত্র পান!