ভারতীয় গণমাধ্যম: মুজিব শতবর্ষে অতিথি মোদীকে নিয়ে বিতর্কে হাসিনা সরকার

সিএএ ইস্যু ঘিরে রক্তাক্ত দিল্লির পরিস্থিতি। পরপর মৃত্যু ঘিরে আলোড়িত আন্তর্জাতিক মহল। এই অবস্থায় বাংলাদেশের জাতির জনক মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ ঘিরে বিতর্ক।

কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেখ হাসিনার সরকারকে প্রবল প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিরোধীরাও কটাক্ষ করছেন।

মার্চ মাসে শুরু বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান। ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই বর্ষ উদ্‌যাপন করা হবে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা।

এই মুজিব শতবর্ষে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সহ অনেককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শেখ হাসনিরার সরকার।

বিতর্ক মোদী কে ঘিরেই। দিল্লিতে ক্রমাগত ভারতীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর হামলার জেরে বাংলাদেশ জুড়ে সমালোচিত হচ্ছেন মোদী। তাঁকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী তে আমন্ত্রণ নিয়ে সরকার পক্ষ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলছে বিভিন্ন সংগঠন।

বিতর্ক থামাতে আসরে নামল আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিক সম্মেলনে জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের সঙ্গে দেশটির আভ্যন্তরীণ সংঘাত, রাজনৈতিক বিরোধ প্রসঙ্গ টেনে আনা সমীচিন নয়।

তিনি বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী দেশই হলো ভারত। তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মিত্র। স্বাভাবিক কারণেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্বকে আমরা বাদ দিতে পারি না। এমন ভাবনা মাথায়ও আনা যায় না।’

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আমাদের এখানে কোনও প্রতিক্রিয়া হলে তা আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই সমাধান করতে পারি। কিন্তু এ রকম একটা অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার যুদ্ধে সহযোগিতাকারী প্রধান দেশকে আমরা বাদ দেব এটাতো চিন্তাও করা যায় না।

মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দেশেও রাজনীতি নিয়ে সরকার আর বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কটা সুখকর নয়। ভারতেও এখন তেমনটাই ঘটছে। তাই বলে সেই বিষয় তো অন্যদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও প্রকার প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব আসার কথা নয়।’ সূত্র: https://www.kolkata24x7.com

বিনোদন বিভাগের সুপারহিট: