তেলেঙ্গানায় ধর্ষণের আগে যুবতীকে হুইস্কি খাওয়ানো হয়েছিল

ধর্ষণের ছক কষেছিল। ধর্ষণের আগে জোর করে যুবতীকে হুইস্কি খাওয়ায় অপরাধীরা। যাতে আক্রান্তের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে”— তেলেঙ্গানায় ঘটে যাওয়া আরও এক ‘নির্ভয়া কাণ্ড’র তদন্তে নেমে NDTV-কে এমনটাই জানাল তেলেঙ্গানা প্রশাসন।

পুলিশের দাবি, চার অপরাধীই নারায়ণপোতের বাসিন্দা। এলাকাটি হায়দ্রাবাদ থেকে ১৬০ কিমি দূরে। ওরা লরি চালক ও খালাসি হিসেবে কাজ করত। প্রত্যেকের বয়স ২০-২৬ বছরের মধ্যে। ইতিমধ্যেই ভারতে অপরাধের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করে তেলেঙ্গানা পুলিশ। সম্ভবত ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে তাদের বিচার হবে।

অভিযুক্তদের বয়ান অনুযায়ী, সন্ধে সোয়া ছ-টা নাগাদ স্কুটি পার্কিং লটে গাড়ি রেখে ট্যাক্সি ধরে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান ওই যুবতী। তখনই তাঁর স্কুটির একটি চাকার টায়ার পাংচার করে দেয় অপরাধীদের একজন। আন্দাজ সোয়া না-টা নাগাদ পশু চিকিৎসক পার্কিং লটে ফিরে দেখেন তাঁর স্কুটির টায়ার পাংচার হয়ে গেছে। তিনি কাউকে ডাকার আগেই তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ওই চার অভিযুক্ত। ঘিরে ধরে তাঁকে। জোর করে টেনে নিয়ে যায় পাশের ঝোপে। অসহায় যুবতী বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকলে তাঁকে থামাতে এবং বেহুঁশ করতে জোর করে মুখে হুইস্কি ঢেলে তারা। ধর্ষণের আগে চারজনই হুইস্কি খাচ্ছিল বলে জানা গেছে।

এরপরেই তারা নগ্ন করে যুবতীকে। নগ্ন হয় নিজেরাও। বেহুঁশ হওয়ার আগে পর্যন্ত লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকে যুবতীকে। একসময় প্রবল রক্তপাত শুরু হলে ক্ষান্ত দেয় তারা। যেই আস্তে আস্তে হুঁশ ফিরতে থাকে যুবতীর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে কম্বলে মুড়ে নগ্ন যুবতীকে তারা নিয়ে যায় একটি ব্রিজের নীচে। সেখানে রেখে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় রাত আড়াইটে।

আরও জানা গেছে, অভিযুক্ত ট্রাক চালকের গাড়ির কোনও লাইসেন্সই ছিল না গত দু-বছর ধরে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মাত্র একদিন আগে প্রশাসন তাকে আটক করেছিল। কিন্তু ট্রাকটির একটি বিশেষ তার সরিয়ে ফেলায় গাড়িটিকে আটক করা যায়নি।

প্রবাসী টিভির ইউটিউব চ্যানেলে যোগ দিতে এখানে ক্লিক করুন।

বিনোদন বিভাগের সুপারহিট: