মৃত্যুর মুখে খাল

মো.সাইফুল ইসলাম, ভোলা: একসময় ভোলা সদর পৌরসভা এলাকায় প্রবেশ পথ এবং মালামাল পরিবহনের একটি অংশ ছিল এই খালটি। শোনা যেত এর মধ্য দিয়ে মাঝারি ধরনের জাহাজ প্রবেশ করে ভোলায় মালামাল দিয়ে যেত।

এ ছাড়া পন্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে জলপথ হিসেবে এই খালটি  ব্যবহার করা হতো তখন। কিছু বছর আগেও এর ব্যবহার ছিল কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির ছোঁয়া আর উন্নয়নের ফলে খালটি প্রায় মরে   গেছে। খালের দুপাশে ও আশপাশে গড়ে উঠেছে অনেক দোকানপাট। কিন্তু শুধুমাত্র খালের অবস্থাটাই করুন। উপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখলে মনে হবে যেন ময়লার স্তুপ ক্ষেত্র।আর তার পাশাপাশি রয়েছে ময়লা আবর্জনা পঁচা দুর্গন্ধ। যদিও পৌর এলাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনার ফেলার জন্য বিভিন্ন নিদিষ্ট স্থান রয়েছে এবং সেখান থেকে সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট স্থানে রাখা  হয়।

প্রয়োজনে ডিডিটি ছড়িয়ে সেখানটা দুর্গন্ধ মুক্ত রাখা হয়। কিন্তু পৌর এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খাল যেখানে সারাদিন জনমুখর জনপদ আর সেখানে এখন ঢাকা পড়ে আছে পলিথিন আর ময়লা আবর্জনা বর্জ্যতে।বলতে গেলে ভোলা পৌর এলাকায় যত ময়লা-আবর্জনা উৎপন্ন হয় তার অর্ধেকটা এই খালি ফেলা হয়।তার পাশাপাশি রয়েছে কাঁচাবাজারের পঁচা সবজি এবং মুরগি ড্রেসিং করার ময়লা আবর্জনা।ময়লা আবর্জনা জমতে জমতে এটি অনেকটা পুরু আকার ধারণ করেছে এবং এর ভেতর এখন আমি বর্ষাকালেও পর্যন্ত পানি প্রবেশ করে না।

এই খালটির এখন কিছু অংশ বাকি আছে যেটুকু নদীর কাছাকাছি এবং সেখান দিয়ে পন্য এনে গাড়িতে করে আনা হয়। ধীরে ধীরে খালটি এখন প্রায় মৃত্যুর মুখে এমন বলতে গেলে এটি এখন  পুরো মরা খাল।কিন্তু খালটির প্রতি কোন নজর পড়ছে না প্রশাসনের, বলতে গেলে এটি একটি কোন প্রশাসনিক দায়িত্ব নেই বললেই চলে।এখন এটি মৃত খালের মত অবস্থা। আর যদি সময় মতো নিষ্কাশন না করা হয় তবে বাকি যেটুকু আছে সেটুকু ও ভরাট  হয়ে যাবে। ফলে জল পরিবহন পথে অনেকটা ভাটা পড়ে যাবে। স্থলপথে বেড়ে যাবে যানজট এবং তার পাশাপাশি আরো সমস্যা পোহাতে হবে সাধারন মানুষদের।প্রশাসন যদি অতি দ্রুত এটি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে তবে আবারো ভোলা সদরের জন্য হবে  উপকারী এবং জল যোগাযোগ মাধ্যমের আরো উন্নয়ন হবে।