উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জ এসোসিয়েশন নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশীষ রঞ্জন ভৌমিক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিতের কারণ ব্যাখ্যা করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশীষ রঞ্জন ভৌমিক জানান, গত ১০ই অক্টোবর মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় কিছু ভুল বাঝাবুঝির প্রেক্ষিতে ‘মুন্না-সবুজ’ পক্ষের প্রতিনিধি ও তাদের সহযোগীবৃন্দ অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রের অধ্যায় ৫ এর ধারা ২১ এর ১ উপধারায় অনুযায়ী কমিশনের সকল কার্যক্রম ট্রাস্টি বোর্ডের তত্বাবধানে পরিচালিত। বিগত নির্বাচনী বছরগুলোর মতো বাহিরেরে স্টেটের বেশ কিছু ভোটার তাদের স্টেটে ব্যালট পাঠানো সংক্রান্ত একটি আবেদন করেন। আমরা উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যালট পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাস্টি বোর্ড।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্দেশনা মোতাবেক নমিনেশন ফরম বিক্রির একদিন আগে নির্বাচনে ভোট প্রদান পদ্ধতিতে বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে বাহিরের স্টেটে ব্যালট পাঠানো প্রক্রিয়ার পূর্ব পদ্ধতি সংযোজন করে। নমিনেশন ফরম বিক্রির সময় ‘মুন্না-সবুজ’নেতৃত্ব দিয়ে আসা কিছু সদস্য প্রশ্ন তুলেন।
তিনি আরও জানান, প্রকৃতপক্ষে তা ছিল ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত এবং গঠনতন্ত্রের আলোকে উক্ত সিদ্ধান্ত আমরা মানতে বাধ্য। এমন জবাবে তারা সন্তুষ্ট না হয়ে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হোন। ৪ জন নির্বাচন কমিশনারকে প্রকাশ্যে হুমকি এবং আমার ধর্মীয় নানা বিষয় তুলে ধরে কটাক্ষ দেন। পেশিশক্তি প্রয়োগ করে এক পর্যায়ে আমাদের জিম্মি করে রাখেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এমন আচরণ আমাদের বিভিন্ন নির্বাচন পরিচালনার ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমাদের সার্বিক নিরাপওার কথা বিবেচনা করে দুইপক্ষকে নির্বাচনী কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে স্থান ত্যাগ করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আরও ছিলেন নির্বাচন কমিশনার শাহাব উদ্দিন মিয়া, আব্দুল মালেক খাঁন, এবং শাহ আলম ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ এসোসিয়েশনের (ইউএসএ) নির্বাচনের তারিখ ও সংক্ষিপ্ত কিছু কার্যবিধি ঘোষণা করেন গঠিত নির্বাচন কমিশন। এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রের অধ্যায় ৫ এর ধারা ২০ এর উপধারা ১ এর আলোকে কার্যকরি কমিটি ৫ সদস্যের এই নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।