ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস এবং ছাত্রলীগের সদ্যবিদায়ী সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী অনিয়ম করে এমফিলে ভর্তির সত্যতা মিলেছে।অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের এমফিলের ছাত্র হিসেবে রাব্বানী ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
জানা গেছে, গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর স্নাতকোত্তর শেষ হয়। এরপর এমফিলে ভর্তি হয়ে তিনি গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।
কুর্দিদের সঙ্গে চুক্তির পর ৩ শহরে সিরিয়ার সেনা
ওই নির্বাচনে জিএস নির্বাচিত হন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়েন তিনি।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদনের পর বিভাগের একাডেমিক কমিটি, অনুষদ সভা, বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের সভার সুপারিশের পর একাডেমিক পরিষদের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু গোলাম রাব্বানীকে এমফিলে ভর্তির ক্ষেত্রে অনুষদ সভার কোনো সুপারিশ ছিল না।
৭৫ তুর্কি সেনা নিহতের দাবি সিরিয়ার কুর্দি গেরিলার
শুধু তাই নয়, বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ ও একাডেমিক পরিষদের নিয়মিত যে অ্যাজেন্ডা, সেখানেও তার নাম পাওয়া যায়নি।
বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ এবং একাডেমিক পরিষদের নিয়মিত সভার অ্যাজেন্ডায় নাম না থাকার বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখব।’ তবে গোলাম রাব্বানীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ীই তিনি ভর্তি হয়েছেন।
বাকি অংশ: বন্দিদের ডায়াপার পড়ানো হয়েছিল
রাব্বানীর ভর্তির নথিতে সই করা উপরেজিস্ট্রার শেখ মো. জামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ২৪ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের সভার পাঁচ–দশ মিনিট আগে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জিয়া রহমান উপাচার্যের কাছে গোলাম রাব্বানীসহ তিনজন শিক্ষার্থীর এমফিলে ভর্তির অ্যাজেন্ডা নিয়ে যান। তাদের ভর্তির বিষয়টি ওই সভায় অনুমোদিত হয়েছে বলে জানানোর পর গোলাম রাব্বানীসহ তিনজনের নাম তাঁরা সভার সিদ্ধান্তের কপিতে যুক্ত করেন।
কিন্তু প্রশাসনিক ভবন থেকে ওই সিদ্ধান্তের নিয়মিত কপিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সই থাকলেও গোলাম রাব্বানীসহ অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর এমফিল ভর্তির অনুমোদনের পৃষ্ঠাটিতে কারও সই নেই।
ছবিতে মালাইকা অরোরা এবং ১২ বছরের ছোট অর্জুন কাপুর
গোলাম রাব্বানীসহ তিনজনের এমফিলে ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়মমাফিক যেসব শিক্ষার্থী এমফিলে ভর্তি হন, তাদের বিষয়ে অনুষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয়ে বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু এই তিনজনের নামই বিভাগ থেকে অনুষদ সভায় পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। তারা তাহলে কীভাবে ভর্তি হয়েছেন, জানতে চাইলে সাদেকা হালিম বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই।