১৯১১ সালে নিউ ইয়র্কের একটি পোশাক কারখানার অগ্নিকাণ্ডে আমেরিকায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। বিংশ শতাব্দির প্রথমদিকের এই অগ্নি দুর্ঘটনায় কারখানার ১৪৬ জন কর্মী নিহত হন। নিহতদের অধিকাংশই ছিল কাজের সন্ধানে আসা অভিবাসী তরুণী।
ওই ঘটনা পর যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমখাতে শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি সামনে চলে আসে। শ্রমজীবী মানুষের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নত করতে বেশ কিছু সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হয়। ফলে প্রণীত হয় যুগান্তকারী শ্রমনীতি।
১৯১১ সালে নিউ ইয়র্কের ট্রায়াঙ্গাল শার্টওয়েস্ট কারখানার বহুতল ভবনে আগুন লাগার এই ঘটনাটি ঘটেছিল। নিউ ইয়র্কের জনসংখ্যা সেসময় প্রায় অর্ধ কোটি ছাড়িয়েছে। সেখানে প্রতিদিন বহু অভিবাসী বসতি গড়তে আসত। শহরে নতুন আগতরা কাজ নিচ্ছিল পোশাক কারখানাগুলোতে।
তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই কমবয়সী ইতাল ইতালিয় ও ইউরোপ পাড়ি দিয়ে আসা ইহুদি। এসব শ্রমিকরা বাস করতেন আলোবাতাস বিহীন অন্ধকার ছোট ঘরে। ভবনটির অষ্টম থেকে দশম তলায় আধুনিক সুবিধার ট্রায়াঙ্গল পোশাক কারখানাতে কাজ করতেন প্রায় ৫০০ শ্রমিক।
মার্চের ২৫ তারিখ, ট্রায়াঙ্গলে কাজ শেষে শ্রমিকরা ছুটির দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু আটতলায় পরিত্যক্ত কাপড়ের ঝুড়িতে আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো কক্ষে। নিমিষেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সেই সময়ে কারখানার কর্মীরা শ্রমিকরা প্রাণভয়ে ছোটেন সিঁড়ি ও লিফটে নামার চেষ্টা করে। অনেকেই জীবন বাঁচাতে ভবনের জানলা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আগুনের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারান।
ওই ঘটনার রেষে পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট দেশটির শ্রমনীতি নতুন করে ঢেলে সাজায়।
প্রবাসী টিভির ইউটিউব চ্যানেলে যোগ দিতে এখানে ক্লিক করুন।