নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগে আবারো পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাত দেড়টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের দেবীসিংহপুর গ্রামের হাজ্বী সফি উল্লার নতুন বাড়িতে ওই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে।
ঐদিন ১০ থেকে ১৫ জনের একদল সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত দল বিল্ডিংয়ের গ্রিল ভেঙ্গে বসত ঘরের ভিতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এরপর ২০ মাস বয়সের শিশু মাহীবি রহমানের গলায় ধারালো ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইলফোন লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দুপুরে সেনবাগ থানার ওসি তদন্ত আবদুল আলীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর কিছুদিন আগে একই উপজেলার বীজবাগ ইউপির বালিয়াকান্দি গ্রামেও অনুরূপ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছিলো।
হাজ্বী সফি উল্লার ছেলে মিজানুর রহমান টিপু জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক সোয়া
একটার দিকে একদল লোক নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। এ সময় তারা দরজা না খোলায় বিল্ডিংয়ের গ্রিল ভেঁঙ্গে ভিতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তার পিতা হাজ্বী সফি উল্লাহ (৭৩), মা ছালেমা বেগম (৬৫), স্ত্রী শামীমা আক্তার (৩৪), ভাইয়ের স্ত্রী রোকেয়া বেগম(২২), মেয়ে সানজিদা আক্তার নাফিজা(১৪), শাকিরা রহমান (১১ জোবেদা রহমান(৪) ও ছেলে মাহীবি রহমান (২০ মাস) সহ পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুদের জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে তার ২০ মাস বয়সের শিশু মাহীবি রহমানের গলায় ধারালো ছুরি ধরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যা আছে দিয়ে দিতে বলে। এরপর ডাকাতদল ঘরে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১৫ভরি স্বর্ণালংকার ও দুইটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যান বলে জানান তিনি।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উল্লাহ বিএসসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ডাকাতি সহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধ দমনে মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল আলী জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মামলা হওয়ার পরে আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে পারব।