কারফিউ ভেঙেই বিক্ষোভে উত্তাল আসাম, পুলিশের গুলিতে হত ৩

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে চলাকালীন বিক্ষোভে উত্তাল আসামে পুলিশের গুলিতে তিন জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দু’জন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
বিক্ষোভে উত্তাল আসাম

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে এ রাজ্যের ১০টি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গুয়াহাটি পাশাপাশি শিলংয়েও কার্ফু জারি করা হয়েছে। আসাম ও ত্রিপুরায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়েছে। আসাম বিজেপি ও অগপ নেতাদের ওপর হামলা ছাড়াও তাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী গুয়াহাটির রাজপথ কার্যত বিক্ষোভকারীদের দখলে ছিল। সকালে শহরের ৪টি স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গিয়ে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। তাতেই পাঁচ জন জখম হন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় ওই তিন জনের। এর পরে শহরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। বদলি করা হয় শহরের পুলিশ সুপারকে। এদিকে, কারফিউ কার্যকর করার জন্য প্রশাসন কড়া হতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাত বাড়তে থাকে।

বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিক সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে আসাম। পরে তা আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। যার পর দফায় দফায় রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের নেতা-মন্ত্রীরা।

তিনসুকিয়ায় ১২ ঘণ্টার জন্য জারি হয়েছে কার্ফু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টা থেকে শুক্রবার ভোর ৫টা পর্যন্ত তা জারি থাকবে। গুয়াহাটির গণেশগুড়িতে বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের গাড়িতে হামলা হয়েছে। ইট, পাথর দিয়ে ডিজিপির কনভয়ে হামলা করে আন্দোলনকারীরা।

প্রবাসী টিভির ইউটিউব চ্যানেলে যোগ দিতে এখানে ক্লিক করুন।

বিনোদন বিভাগের সুপারহিট: