মেঘালয় ভ্রমণ: মাওকিডহ এসে একপশলা বৃষ্টির মুখে

মেঘালয় ভ্রমণ, পর্ব ৩: ছোট্ট সেতু পাহাড়ের দুই অংশ যুক্ত করেছে। বিপরীত দিকে সবুজ পাহাড়ের রেঞ্জের অসাধারণ রূপ। নিচে বিশাল খাদ। চেরাপুঞ্জি ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীদের এটাই প্রথম স্পট। বিপজ্জনক জায়গাগুলোয় সেলফি তুলতে সর্তকবার্তা টানানো হয়েছে। মিনিট পনেরো কাটিয়ে ওয়াকাবার উদ্দেশে রওনা দিলাম। মাওকিডহ এসে একপশলা বৃষ্টির মুখে। কিছু দূরে আসতেই বৃষ্টি কেটেছে। তবে আকাশে মেঘের আনাগোনা আর গর্জন।
মৌসমাই গুহা, মেঘালয় ভ্রমণ

মেঘালয় ভ্রমণ, পর্ব ২ পড়তে ভিজিট করুন। রাস্তার প্রতি ইঞ্চিতে সৌন্দর্যের হাতছানি। আমরা ওয়াকাবা ফলসে এসে পড়লাম। এখানে রোদ। বৃষ্টির লেশ নেই। এরই মধ্যে ১২টা ৩৮ বেজেছে। টিকিট কেটে সড়কের পাশের ছোট্ট স্পটে ঢুকে গেলাম। এখান থেকে ঝরনা দর্শন করতে হয়। এপ্রিলের শেষ দিক হওয়ায় পানি কম। বর্ষায় চিরযৌবনা ঝরনার রূপ এখনো হয়নি। এ সময় দর্শনার্থীদের খানিকটা হতাশ করে। সূর্যের পর্যাপ্ত আলোয় এখানে ছবি তোলার হিড়িক। বেলা একটায় পৌঁছালাম নকলাইখাই বা নকলাই ফলসে। ঝরনার পানি একেবারে স্বচ্ছ। জমে থাকা পানি দেখতে সুইমিংপুলের মতো।

আধা ঘণ্টা কাটিয়ে রওনা দিলাম মৌসমাই গুহায়। সেখানেই আমাদের দুপুরের আহার। ৩০ মিনিটের পর পৌঁছালাম গুহা এলাকায়। গুহায় ঢুকতে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলাম। কলকাতা থেকেও অনেক বাঙালি পরিববার এসেছে। জনপ্রতি ২০ টাকা টিকিট। ভয়ংকর গুহা। সাদা বাতির আলো সবার ভয় দূর করেছে। গুহার সরু পথ আর পিচ্ছিলতা খানিকটা ভয় লাগাবে। ওপর থেকে পানি ঝরছে। কিছু জায়গায় দিনের আলোও ঢুকছে।

গুহা থেকে বেরিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। সব হোটেলেই চালকদের জন্য খাবার ফ্রি। রৌশন ভাটিয়াও খেয়ে নিলেন। তিনটার দিকে সেভেন সিস্টার্স ফলসে। চেরাপুঞ্জির অন্যতম স্পট এটি। ভারতের এ অংশের সাত রাজ্যকে স¥রণ করতে নাম দেওয়া হয়েছে সেভেন সিস্টার্স ফলস।

মিনিট বিশেকের মধ্যে চেরাপুঞ্জি ইকোপার্কে পৌঁছালাম। পাহাড়ের ওপর ঝরনা আর নিরাপত্তাবেষ্টনীর এক পার্ক। নিচের দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি। পুরো পার্ক দেখতে এক ঘণ্টা হাতে নিয়ে আসবে। চেরাপুঞ্জিতে রাত কাটানোর পরিকল্পনা বদলিয়ে মাওলিনং রওনা দিলাম। সেখানে রাতে হোম স্টে। লেখা: সানজাদুল ইসলাম সাফা।